শৈলাচল-২০১৮

ইস্পাহানীতে অনেক কিছুর প্রতিযোগিতা হলেও মৌলিক কোনো কিছু নিয়ে তেমন কিছু না৷ সবকিছুতেই একটা সীমাবদ্ধতা তৈরি করে দেয়।
.
সাহিত্য নিয়ে ইস্পাহানীতে মৌলিক কিছু হয়না বললেই চলে। যা হয় সেটা হচ্ছে একটা টপিক দিবে সেটার উপর লিখতে রচনা হবে, এরবেশি কিছুই না। 
গল্প,প্রবন্ধ,রম্য,কব­িতা প্রতিযোগিতা হলে ভালো হতো খুব। কিন্তু এখানেও কয়েকটা ঝামেলা আছে।
.
কিছুদিন পূর্বে যখন ম্যাগাজিনের জন্য লেখা জমা নিচ্ছিলো আমি ভাবলাম আমিও একটা গল্প এবং একটা কবিতা দিবো এবং কবিতা লিখেও ফেলি।

সবাই জমা দিচ্ছে, ক্লাসের অনেকেই তাদেরগুলো আমাকে পড়তে দিতো,কারণ তারা প্রায়ই দেখে আমি ক্লাসে বিভিন্ন গল্প-উপন্যাস পড়ি। সবারগুলোই একই ধাঁচের হচ্ছিলো মানে ওদের কাছে প্রিয় কবির নাম জিজ্ঞাসা করলে শুধু কাজী নজরুল আর রবীন্দ্রনাথের নাম শোনা যাবে, পাঠ্যবইয়ের বাহিরে তাঁদের কবিতাও হয়তো পড়ে নাই- তো ওরা আর কিরকম লেখবে! (জানি খুব বাজে ভাবেই বললাম)
তো হঠাৎ এক ছেলেকে দেখলাম খুব মারাত্মক একটা কবিতা লিখলো, কিন্তু পরে দেখা গেলো সবার কবিতা সিলেক্ট হলেও তার কবিতটি হয়নি। 
.
এটা একধরনের আক্ষেপ বলতে পারেন। আমার খুব শখ ছিলো যে আমার কলেজে কবিতা প্রতিযোগিতা, গল্প প্রতিযোগিতা হবে । 
সেটা আর হয়ে উঠলো না। আর এখন যদি হয়ও আমার আর অংশ গ্রহণ করা হবে না।

No comments

Powered by Blogger.