প্রশ্ন পদ্ধতির পরিবর্তন চাই!

ছুটি মোটামোটি শেষের দিকে। পরীক্ষার দামামা বেজে উঠার উপক্রম চলছে। সম্ভবত ৮ই জুলাই হতেই শুরু হচ্ছে ৮ম, ১০ম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনীএবং ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৯ম, ১২শ শ্রেণির ১ম সাময়িক পরীক্ষা। সবাই মনে রাখবে, এ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতেও কিন্তু, তোমাদের শাখা পরিবর্তন হতে পারে। তাই সবাইকে মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা দেবার পরামর্শ রইল।
.
ইস্পাহানীর প্রশ্ন পদ্ধতি প্রতিবার একই রকমেরই হয়। সাপ্লিমেন্ট কিংবা টেস্ট পেপারের প্রশ্ন গুলুই পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হয়। এ প্রথা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। তাই, নতুন ধাচের বা একটু ক্রিটিকাল প্রশ্ন পরীক্ষায়(একাডেমীক পরীক্ষায়) খুব কমই পাওয়া যায়। প্রতিবারই সিংহভাগ প্রশ্ন বোর্ডে আশা কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রশ্ন থেকে হয়ে থাকে।
তাই শিক্ষার্থীরা সহায়ক বই দেখে গদ বাধা প্রশ্ন মুখস্ত করছে এবং কমনও পাচ্ছে।
.
এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটছে না। বলতে পারো, এবার তো প্রন্সিপাল স্যার নিজ হাতে প্রশ্ন ব্যাংক থেকে প্রশ্ন নির্বাচন করবেন। হ্যা, এতে প্রশ্নের নিরাপত্তা বাড়বে, কিন্তু কোয়ালিটি কিন্তু একই থাকবে। কারণ প্রশ্ন ব্যাংকের প্রশ্ন গুলুও কিন্তু টেস্ট পেপার কিংবা সাপ্লিমেন্টের প্রশ্ন থেকেই নির্বাচন করা হয়েছে। মিলিয়ে দেখতে পারো।
.
নিঃসন্দেহে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সামর্থ্য সম্বন্ধে কোনো প্রশ্ন নেই।
তবে প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধারার(প্রশ্ন পদ্ধতির) ব্যাতিক্রম কি কখনও ঘটবে না?
.
যদি একটু ক্রিটিকাল প্রশ্ন দেয়া হয় এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া যায়, তাহলে একাডেমীক এক্সাম কেন, সব ধরণের এক্সামেই শিক্ষার্থীরা কঠিন প্রশ্নের মোকাবেলা করতে পারবে, তা আশা করাই যায়। কিন্তু শুধু টেস্ট পেপার বা সাপ্লিমেন্টের প্রশ্ন এর ওপর প্রস্তুতি নিলে শিক্ষার্থীরা ব্যাতিক্রম ধর্মি প্রশ্ন এর সম্মুখীন হতে পারবে কি, প্রশ্ন থেকেই যায়।
.
যাই হোক,
সবার জন্য শুভ কামনা রইল। 
প্রশ্ন পদ্ধতির ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় রইলাম। ❑

No comments

Powered by Blogger.